আজ রবিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক মঈনুল খান।
তিনি জানান, রবিবার সকালে কাগজপত্র যাচাই শেষে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর গাড়িটি জব্দ করেছে। গাড়িটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫টায় বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ অফিস থেকে একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দার সদর দফতরে পাঠানো হয়। সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর কিমিয়া ফ্যানের (Qimia Fan) চিঠিও দেয়া হয়েছে। এতে স্বেচ্ছায় গাড়ি সমর্পণের কথা বলা হয়। শুল্ক গোয়েন্দার চলমান তদন্তে সার্বিক সহযোগিতার অঙ্গীকারের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
বাংলাদেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও বিদেশি সংস্থায় কর্মরত কুটনৈতিক সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহারসংক্রান্ত চলমান তদন্তের প্রয়োজনে শুল্ক গোয়েন্দা সদর দফতর থেকে বিশ্বব্যাংকের কাছে তথ্য চাওয়া হয়। এ চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকাস্থ বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ দফতর থেকে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল শুল্ক গোয়েন্দা দপ্তরে উপস্থিত হয়ে তাদের পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এতে শুল্ক গোয়েন্দার তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়। আরো বেশ কিছু গাড়িতে গরমিল রয়েছে বলেও প্রাথমিক অনুসন্ধানে তথ্য মিলেছে। এগুলোর ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।