অগ্রসর রিপোর্ট :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘আমিষের’ চাহিদা পূরণে সংশ্লিষ্ট সকলকে আরো নিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আগামীকাল থেকে ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ- ২০১৭’ উপলক্ষে আজ সোমবার দেয়া এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, খাদ্যে আমিষের চাহিদা পূরণে মৎস্যসম্পদ উন্নয়ন, মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি ও গুরুত্ব সম্পর্কে সর্বস্তরের জনগণকে সচেতন করার মাধ্যমে দেশে মাছের উৎপাদন বাড়াতে হবে।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য ‘মাছচাষে গড়বো দেশ, বদলে দেব বাংলাদেশ’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।
মৎস্যখাতকে সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকারভুক্ত খাত হিসেবে অভিহিত করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বিগত সাড়ে আট বছরে আওয়ামী লীগ সরকার এখাতে পরিকল্পিত উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। এর ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্যখাতের ভূমিকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখাতে অধিকতর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন,‘আমরা প্রাকৃতিক জলাশয়ের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, পরিবেশবান্ধব ও উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর মৎস্যচাষ ব্যবস্থাপনার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। যার ফলে দেশের মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৩৮ লাখ ৭৮ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের মৎস্য আহরণে আমাদের স্থান বিশ্বে চতুর্থ।’
আমরা দেশে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় মৎস্য নীতি ১৯৯৮’ প্রণয়ন করেছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জলমহালে সমাজভিত্তিক মাছচাষ ব্যবস্থাপনা, মাছের আবাসস্থল উন্নয়ন, প্লাবনভূমিতে মৎস্যচাষ ও অভয়াশ্রম স্থাপনসহ অবকাঠামো উন্নয়নে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩৩২ কোটি টাকার ২২টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন,বঙ্গোপসাগরে মৎস্য আহরণক্ষেত্র, মৎস্যসম্পদের মজুদ নির্ণয় ও সহনশীল আহরণমাত্রা নির্ধারণের লক্ষ্যে ‘আর ভি মীন সন্ধানী’ নামে একটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন গবেষণা ও জরিপ জাহাজ ক্রয় করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা জানান,পরিবেশবান্ধব ও লাগসই প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ও মুক্ত জলাশয়ে মৎস্য সংরক্ষণ করে এখাতের কাক্সিক্ষত উন্নয়ন সম্ভব। এছাড়া, মাছ ও চিংড়ি চাষের পাশাপাশি বিভিন্ন অপ্রচলিত মৎস্য, কুঁচিয়া ও কাঁকড়ার উৎপাদন বৃদ্ধি ও রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।