আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : বরগুনার আমতলীতে পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন দর্জি কারিগররা। তাদের হাতে মোটে ও সময় নেই। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তৈরি পোশাক সরবরাহ করতে হবে। তাই পছন্দের পোশাক বানাতে দর্জির দোকানগুলোতে ভিড় করছেন সৌখিন গ্রাহকরা। কেননা বাজার থেকে কেনা বাহারি পোশাকের দাম যেমন চড়া, তেমনি মাপেও ঠিক হয় না। আমতলী উপজেলার বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, প্রায় দুই শতাধিক দর্জির দোকানে মানুষ ভিড় করছে। উৎসব এলেই এ মার্কেট গুলোতে নারীদের পদচারণাও বাড়তে থাকে।
মঙ্গলবার বিকালে দর্জির দোকানগুলোতে নারীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। মার্কেটে আসা দুই গৃহিণী হেপি বেগম ও আছিয়া বেগম জানান, ছেলেমেয়েদের চাহিদা অনুযায়ী একটু ভালো কাপড় কিনে বাহারি পোশাক তৈরির জন্য দর্জির দোকানে এসেছি। কিন্তু দর্জিরা অর্ডারের ভিড়ে মজুরিও অনেকাংশে বাড়িয়ে দিয়েছেন। এর পরও বাধ্য হয়ে পোশাক তৈরির জন্য তাদের কাছে এসেছি মায়ের দোয়া বস্ত্রালয়ের মালিক মো: লতিফ হ্ওালাদার জানান, এ বছর ক্রেতারা কাপড় কিনে বিভিন্ন দর্জির দোকানে তাদের পছন্দমাফিক পোশাক বানাচ্ছেন।
দর্জিও দোকানগুলোতে অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগ করে বিরতিহীনভাবে পোশাক তৈরির কাজ চলছে। ফলে তাদের ফুরসত নেই। দর্জিদের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় মানস¤পন্ন পোশাক তৈরির জন্য মানুষ ছুটছে শহরের বিভিন্ন দোকানে। দর্জিরা ক্রেতাদের অর্ডার নিতে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন।
পুরান বাজারের মান্নান টেইলার্সের মালিক আঃ মান্নান জানান, প্রথম রমজান থেকেই কাজের চাপ শুরু হয়েছে এবং ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ার পরও এখনো অর্ডার নিচ্ছি। কারণ কারিগর বেশি থাকার ফলে কাজের কোনো অসুবিধা নেই দর্জির দোকানে আসা কয়েক জন জানান, কাপড়ের দাম বাড়ার পাশাপাশি মজুরিও বেড়ে যাওয়ায় এবার ঈদে বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে।