আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : জমে উঠেছে আমতলীর ঈদ বাজার। শিশু, নারী-পুরুষের পদচারনায় সরগরম বিপণি বিতান গুলো। সবচেয়ে কদর বেশী বাহুবলী পোষাকের। ক্রেতারা তাদের পছন্দ মত জামা-জুতা পোশাক-প্রসাধনী ইত্যাদি ঈদপন্য কিনছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কেনাবেচা। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে বাজারে ক্রেতাদের ভিড়ও তত বাড়ছে। এছাড়া পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত টেইলার্স কারিগররা। রাত জেগে তারা কাজ করছে ।
ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, ২০ রোজা থেকে ঈদ বাজার জমে ওঠেছে। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। ঈদের মার্কেটে ভারতীয় সিনেমা বাহুবালী-২ নামে আসা পোশাকের চাহিদা মেয়েদের কাছে অনেক বেশী। বাহুবালী-২ মেয়েদের পোশাকটি প্রকার ভেদে ১ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাহুবলী পোশাক মানেই ঈদ আনন্দ।
আকন বস্ত্রালয়ের সেলসম্যান বিকাশ নাথ ও সুমন দাস জানান বাহুবলী-২, জামদানী ও সৃজনী শাড়ী এবং বাহুবলী-২, জামাই রাজা, সেলভিয়া ও মীরা থ্রিপিস বেশী বিক্রি হচ্ছে। তারা আরো বলেন বাহুবলী-২ শাড়ী ৭ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা এবং বাহুবলী-২ থ্রিপিস ১ হাজার থেকে ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা ভারতীয় সিনেমার নামের সাথে যুক্ত পোশাক সাচ্ছন্দে কিনে নিচ্ছে। ক্রেতা জান্নাতুল ফেরদৌসী বলেন এ বছর পোশাকের ধরন বদলে গেছে এবং দামও অনেক বেশী। একটি সেলভিয়া থ্রিপিস ১১ হাজার ৫০০ টাকায় ক্রয় করেছি। তিনি আরো বলেন দাম একটু বেশী হলেও ভালো মানের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। শনিবার আমতলী শহরের আকন ব¯্রালয়, মদনমোহন বস্ত্রালয়, ইসলামিয়া বস্ত্রালয়, মাসফি চয়েজ ও সারমিন ফ্যাসন হাউস ঘুরে দেখা ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।
নারী ও পুরুষরা মিলে পছন্দের পোশাক ক্রয় করছে। এ সকল বিপণিবিতানগুলোতে বাহুবলী-২ ,জামদানী, রেশমী, সিল্ক, টাঙ্গাইল, মিরপূরী, নিল আসা, নীলপরি, সৃজনী শাড়ী এবং বাহুবলী-২, জামাইরাজা, জিসা, মীরা, সেলভিয়া , হাওলাদার, রিয়া, রেডিশন, রামেশা, লোন, জর্জেট, ফিউচার, আঁচল, নাগিন ও লেহেঙ্গা থ্রিপিস বেশী বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া বাচ্চাদের পোশাক বাহুবলী-২, রাখিবন্ধন, শারারা, লেহেঙ্গা, ফ্লোরটাচ ও জবা বেশী বিক্রি হচ্ছে। তবে ভারতীয় পোশাক দখল করে আছে দোকানগুলোতে। মদনমোহন বস্ত্রালয়ের সেলসম্যান স্বপন বলেন বাহুবলী-২ ও লেহেঙ্গা থ্রিপিস বেশী বিক্রি হচ্ছে। ইসলামিয়া বস্ত্রালয়ের মালিক আনিসুর রহমান বলেন জামদানী শাড়ী ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা দামে বিক্রি করেছি।
সুমাইয়া কমপ্লেক্সের মাসফি চয়েজ হাউজের মালিক জাহিদ মিয়া ও সারমিন ফ্যাশন হাউসের মালিক বেলাল ও বাঁধন স্টাইল গার্মেন্টস মালিক ফরহাদ হোসেন সোহেল বলেন বাচ্চাদের রাখিবন্ধন, ফ্লোরটার্চ, লেহেঙ্গা ও বাহুবলী-২ বেশী বিক্রি হচ্ছে। তারা আরো বলেন ভারতীয় সিরিয়ালের নামে আসা পোশাকের প্রতি ক্রেতাদের আকর্ষণ একটু বেশী।