জান্নাতুন নাঈম মায়িশা
আমি আবলুশ কাঠের মতোই প্রাচীন!
আমি এশীয়রীয় সভ্যতায় ইতিহাসের মতো জমতে থাকা জ্ঞান!
আমার জ্ঞানকে আমি বিশ্বাস করি সবকিছুর উর্ধ্বে!
আমার জ্ঞানকে আমি ভেঙ্গে দেই নতুন সুন্দরের কাছে।
সুন্দরকে গ্রহণ করি সানন্দে, সাগ্রহে আর নির্লিপ্ত বিচক্ষণতায়,
বসার ঘরের বেতের বুননের আরামদানির মতো আমি আরাম দিয়েছে আমার অনুভূতিকে।
এই অনুভূতির মাঝে ভারী পাথরের চাপ ছিলো,
সেখানে শীতল ঝর্ণা বইয়ে দিয়েছি কবিতার আনন্দে
ঝর্ণার ঝংকারেই তো নতুন সৃষ্টি আর সভ্যতার সংগীতে তান লেগেছে।
এখন সব নতুন দালান,
চকমকে আলোর ইন্টেরিয়র!
আমার বাবার মোটা চশমার ফ্রেম,
সেগুন কাঠের ভারী খাট,
শোকেসে সাজানো ক্যালান্ডারের ফরাশে পোর্সিলিনের রুচি!
সেখানে ইম্পোর্টেড সিরামিক সাজে না,
সেখানে সাজে পুরানো ইতিহাস, রেখে যাওয়া শূণ্য স্পর্শের আদর, আর যা কিছু সব পুরোনো তথ্যের স্মৃতি।
হয়তো প্রপিতামহের চিঠি,
যাতে লেখা থাকে খবর পাওয়ার নিশ্চয়তা,
যার কাছ থেকে আর কখনোই খবর পাওয়া যাবে না।
এ সবকিছু গম্ভীর, গুরু, গৌরবচিত!।
আমার আপন,
আমার মায়ের বয়োবৃদ্ধ জ্ঞান আর মর্যাদা!
আমার একান্ত বিশ্বজনীন আভিজাত্য!