অগ্রসর রিপোর্ট : ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখার সাবেক যুগ্ম সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর লাশ কবর থেকে ওঠানো হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্তের জন্য আজ শনিবার চবি ক্যাম্পাস এলাকায় তার কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ওহিদুর রহমান বলেন, দিয়াজের মৃতদেহ উত্তোলনের সময় হাটহাজারী উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি) আরিফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। মরদেহ ঢাকার উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে।
২৩ নভেম্বর পুলিশ জানায়, দিয়াজকে হত্যা করা হয়েছে-এমন আলামত ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মেলেনি। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে মত দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে দিয়াজের পরিবারসহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একটি অংশ। তারা বলে, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদনের সঙ্গে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের কোনো মিল নেই।
৬ ডিসেম্বর সিআইডি দিয়াজের মরদেহের পুনঃময়নাতদন্তের আবেদন করে। আদালতের নির্দেশ অনুসারে, ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রধানের নেতৃত্বে গঠিত তিনজনের প্রতিনিধিদল পুনঃতদন্ত করবে। এ কারণে দিয়াজের লাশ ঢাকায় আসছে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক দিয়াজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক যুগ্ম সম্পাদক। ক্যাম্পাসের ওই বাসায় মাসহ থাকতেন দিয়াজ। তার বাবা-মা দু’জনই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নির্মাণ কাজের জন্য ৯৫ কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ে দিয়াজের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুর বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধ, চাঁদা দাবিসহ নানা কারণে ‘ষড়যন্ত্র’ করে টিপুকে হত্যার পর লাশ ঘরে ঝুলিয়ে রাখা হয় বলে দাবি দিয়াজের পরিবারের।
দিয়াজের মৃত্যুর ঘটনায় তার মা গত ২৪ নভেম্বর আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ছাত্রলীগ নেতা টিপু ছাড়াও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন চৌধুরীসহ ১০ জনকে আসামি করা হয় ওই মামলায়।