অগ্রসর রিপোর্ট : আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের দেশ-বিদেশসহ ব্যবসায়িক লেনদেনের অর্থের অনুসন্ধানে নেমেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।
শুল্ক গোয়েন্দার বিভাগ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মঈনুল খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ব্যবসায়িক লেনদেন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং অর্থ লেনদেনের সব তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে চিঠি দিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।
এছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশে তার ব্যবসায়িক লেনদেন এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে একটি অনুসন্ধান কমিটি করা হয়েছে। এতে নেতৃত্বে আছেন শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পরিচালক এস.এম শরিফুল হাসান।
আপন জুয়েলার্সের মালিক যেসব স্বর্ণ বা ডায়মন্ড বিক্রি করেছেন সেগুলো সোর্স কী, সেগুলোর কর পরিশোধ করা হয়েছে কিনা এ বিষয়গুলো পরিষ্কার নয়। এটা নিয়ে আমরা অনেকদিন ধরেই কাজ করছি। সবশেষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে তার ব্যাপারে অভিযোগ আসায় বিষয়টি আমরা আমলে নিই।
তার বিরুদ্ধে অনেক আগে স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগ ছিল জানিয়ে মহাপরিচালক ড. মঈনুল খান বলেন, আপন জুয়েলার্সের মালিক কীভাবে এত সম্পদের মালিক হলেন, পূর্বে কী ব্যবসা করতেন, তার অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
এছাড়া তিনি সঠিকভাবে শুল্ক দিয়ে স্বর্ণ-ডায়মন্ড আমদানি করছেন কিনা তাও অনুসন্ধান করা হচ্ছে। শুক্র ও শনিবার সরকারি বন্ধ থাকায় তদন্ত বন্ধ আছে। আজ রোববার থেকে এ তদন্ত শুরু করা হবে। এরই মধ্যে উত্তরা, মৌচাক ও গুলশানে তিনটি স্বর্ণের দোকান গড়ে তুলেছেন। এমন দোকান গড়ে তোলার টাকার উৎস তিনি কোথা থেকে পেলেন তা জানার জন্য খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
অপরদিকে গেলো দশ বছরেও বাংলাদেশে সোনার আমদানি নেই। কিন্তু তিনি এত স্বর্ণ ও ডায়মন্ডের উৎস কোথায় পেলেন তা তদন্ত করবে ওই তদন্ত কমিটি।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে স্বর্ণ ও ডায়মন্ডের খনি নেই। কিন্তু তিনি কোন প্রক্রিয়ায় কীভাবে এসব সংগ্রহ করছেন তাও খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়া তার দোকানে বিক্রির জন্য রাখা ডায়মন্ড দুই নম্বর কিনা তাও পরীক্ষা করে দেখা হবে।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে দিলদার আহমেদের ব্যাংক হিসাবে দুর্নীতির প্রমাণ পেলেই তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গেলো ২৮ মার্চ ২ তরুণী ধর্ষণের শিকার হন। ৬ মে বনানী থানায় তারা একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ৫ জনকে আসামি করা হয়।
এরা হলেন-সাফাত আহমদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ।