ডিএমপি কমিশনার বলেন, ধর্ম যার যার-উৎসব সবার। ধর্মীয় উৎসব সবাই করবে, এর নিরাপত্তা দিতে রাষ্ট্র বদ্ধপরিকর বিধায় পুলিশ সকল ধর্মীয় উৎসবে নিরাপত্তা দিয়ে আসছে। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে ধর্মীয় উৎসব পালন করার পাশাপাশি আমাদের সকলকে নিরাপত্তার কথা মাথায় রাখতে হবে এবং নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। নিরাপত্তার জন্য কোন ছাড় দেয়া যাবে না।
আছাদুজ্জামান বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে রাজধানীর জন্য নির্ধারিত রুটে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাজিয়া মিছিল শেষ করতে হবে।এক এলাকার মিছিল নিয়ে অন্য এলাকায় যাওয়া যাবে না। মিছিলে নিশান,পাঞ্জা ব্যবহারের জন্য ১২ ফিটের বেশী উচ্চতা বিশিষ্ঠ কোন লাঠি বা বাশঁ ব্যবহার করা যাবে না এবং কোন প্রকার আতশবাজি, পটকা ফোটানো যাবে না। তিনি বলেন, হোসনী দালান,কারবালাসহ রাজধানীর যেখানে পবিত্র আশুরার অনুষ্ঠান হয়, সেখানে সিসিটিভি স্থাপন করতে হবে এবং প্রবেশ মুখে আর্চওয়ে স্থাপন করে পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে হ্যান্ডমেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চেক করে লোকজনদের প্রবেশ করাতে হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, কোনক্রমেই কাউকে ব্যাগ, টিফিন বক্স, প্রেসার কুকার নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না। মিছিলে অংশগ্রহণকারী পাইকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পাইকরা দৌড়ে সরাসরি অনুষ্ঠানের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না। এবার ছুরি, বল্লম, দা ও তলোয়ার নিয়ে মিছিল করতে পারবে না বলেও নিষেধাজ্ঞার কথা মনে করিয়ে দেন তিনি।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।