অগ্রসর রিপোর্ট :মহামারী করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা কিনতে বাংলাদেশসহ ১২টি দেশকে ১৬০ কোটি ডলার অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক। মার্চের মধ্যেই বিশ্বব্যাংক বোর্ড থেকে ওই তহবিলের অনুমোদন দেওয়া হবে।
রয়টার্স জানিয়েছে, এই ১২ দেশের মধ্যে ফিলিপাইন, তিউনিসিয়া ও ইথিওপিয়াও আছে। ১২ দেশ ছাড়াও পরবর্তীতে আরও ৩০ দেশের জন্য একইরকম তহবিল গঠন করা হবে।
শুক্রবার বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে অর্থায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এক হাজার দুই শ কোটি ডলারের কর্মসূচির আওতায় টিকা কেনা ও উৎপাদকদের সঙ্গে দেশগুলোর সই করা চুক্তিকে মানোপযোগী করতে কাজ করবে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জানান, গরিব দেশগুলো ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যে চুক্তি করেছে সেগুলো নিশ্চিত করতে কাজ করছে তারা। ডোজগুলো কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সে সম্পর্কে আরও বেশি তথ্য দেওয়ার জন্য উৎপাদকদের চাপ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও দরিদ্র দেশগুলো যেন আরও বেশি ভ্যাকসিন পায় সে লক্ষ্যে কাজ চলছে।
বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট বলছেন, স্থানীয় সরকারগুলোর সঙ্গে টিকা বিতরণের সমস্যা চিহ্নিত করে এর সমাধানে কাজ করছে। তাদের ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন বর্তমান ভ্যাকসিন উৎপাদন ব্যবস্থাকে সম্প্রসারিত করতে কিংবা নতুন করে উৎপাদন চালু করতে চারশ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত। উন্নত দেশগুলোতেও এ বিনিয়োগ করা হবে।
মালপাস বলেন, ‘তবে এজন্য বর্তমান উৎপাদন ব্যবস্থা নিয়ে আরও তথ্যের প্রয়োজন। আমরা নতুন সক্ষমতা নিয়ে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। যদিও এটি করা বেশ কঠিন। এছাড়া দরিদ্র দেশগুলোতে জি-সেভেন রাষ্ট্রগুলোর টিকা সরবরাহের প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত জানাই।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মহামারী রুখতে হাতেগোনা যেসব দেশে টিকাদান শুরু হয়েছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ইসরায়েল। মধ্যপ্রাচ্যের দখলদার দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রতি ১০০ জনে ৮২ জন টিকা পেয়েছে। অন্যদিকে ভারত ও বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত প্রতি ১০০ জনে একজনেরও কম মানুষ ভ্যাকসিন পেয়েছে। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে বিশেষ করে কয়েকটি আফ্রিকান দেশ এখনো টিকাদান কর্মসূচি শুরু করতে পারেনি।