ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি, জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশের সুষ্ঠু প্রজনন নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এমন সিদ্ধান্ত ইতিবাচক বলে মনে করছে সচেতন মহল। এটি যথাযথভাবে কার্যকর হলে বাজারে ইলিশ সহজলভ্য হবে ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ইলিশের চাহিদা মেটাতে পারবেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তারা মনে করছেন, ইলিশ শিকারি বা জেলেদের সাময়িক অসুবিধা হলেও বৃহত্তর স্বার্থে এমন এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহ প্রশংসার দাবি রাখে।
১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ শিকার, মজুত ও বেচাকেনা নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের পর থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে ইলিশের ব্যাপক ছড়াছড়ি লক্ষ্য করা যায়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১২ অক্টোবর থেকে বাজারে ইলিশ ও জাটকা পাওয়া যাওয়ার কথা নয়। তাই অনেকে বেশি করে ইলিশ কিনে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখছেন।
ইলিশ কিনতে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মাদপুর টাউন হল মার্কেট, কৃষি মার্কেটসহ বিভিন্ন বাজারে ক্রেতা ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়। কেউ-কউ ইলিশ কিনে তার ছবিও ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ২৭টি জেলা হচ্ছে—চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, শরীয়তপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, খুলনা, কুষ্টিয়া ও রাজশাহী জেলার নদনদী। সেই সঙ্গে দেশের সমুদ্র উপকূল এবং মোহনায়ও ওই ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে।