সভায় আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, এডভোকেট সাহারা খাতুন, কাজী জাফর উল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ড. আব্দুর রাজ্জাক, এডভোকেট আব্দুল মান্নান, রমেশ চন্দ্র ও পীষুষ কান্তি ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন। তবে পারিবারিক কারণে ১৫ দিনের ছুটিতে লন্ডনে থাকা দলের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আজকের সভায় অংশ নিতে পারেন নি।
আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য দ্রুত দেশকে উন্নত করা। এজন্য দলকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। সেজন্য সরকারের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সকলকে সহযোগিতা করতে হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমানের হাত ধরে স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনিরা রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব নেয়। দীর্ঘ ২১ বছর তারা ক্ষমতায় থেকে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করতে চেয়েছিল। যেন বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে না পারে। স্বাধীনতার নীতি-আদর্শ ধ্বংস করাই ছিল তাদের কাজ।
আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। এখন আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে হবে। এ লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে চলেছি। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ এবং এ দেশের মানুষ যেন আবারও মাথা উঁচু করে চলতে পারে এটাই আমরা চাই। ২২ ও ২৩ অক্টোবর দলের সম্মেলনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি অত্যন্ত সফল সম্মেলন হয়েছে। এ সম্মেলনে দেশি-বিদেশি অতিথিরা এসেছেন, তারা প্রত্যেকেই আমাদের উন্নয়ন ও আর্থসামাজিক অবস্থার প্রশংসা করেছেন। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয় এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলার দৃঢ়প্রত্যয়ের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশ সঠিক ধারায় ফিরে আসে। সরকার যে জনগণের সেবক তা উপলব্ধি করতে শুরু করে দেশের মানুষ। আমরা দেশ ও জনগণের সেবা করার ব্রত নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। প্রসঙ্গত দলের সদ্যবিদায়ী সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আজ শুক্রবার দুপুরে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। তিনি ১৫ দিনের জন্য ছুটি নিয়েছেন। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী তার ছুটি অনুমোদনও করেছেন।