ইউরোপের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মানুষ উন্নতি চায়? না অবনতি? – এই প্রশ্নটা করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ আন্তরিকতার সঙ্গে দেশের উন্নয়ন চায়। কারণ আওয়ামী লীগ দেশের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। দেশের উন্নতি করাই আওয়ামী লীগের কর্তব্য। ইনশাল্লাহ, আমরা তা করে যাব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন। আওয়ামী লীগ যেভাবে দেশের উন্নতি করবে, আর কেউ তা পারবে না।
তিনি বলেন, প্রবাসীদের প্রত্যেককে বাংলাদেশের ‘এক একজন রাষ্ট্রদূত’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে হবে।
২০১৯ সালে অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে সবাইকে সে জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেন তিনি।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, কিছু কিছু লোক আছে, তাদের কোনো কিছুতেই ভালো লাগে না। সব কিছুতেই ‘কিন্তু’ খোঁজা, আর আন্দোলন করা। আন্দোলন তো বাংলাদেশের মাটিতে করতেই হবে। একেকটা ইস্যু নিয়ে রাস্তাঘাটে মিছিল করুক। আর দেশের উন্নয়নে আমরা কাজ করতে থাকি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে, তারা দেশের মানুষকে কী দেবে? যারা মানুষের জীবন নিয়ে খেলে, তাদের ওপর মানুষের আস্থা থাকবে কেন?
পানি সম্মেলনে যোগ দিতে গত রবিবার বুদাপেস্টে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। ৪ দিনের সফর শেষে বুধবার তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।