স্থানীয় সময় গত সোমবার রাতে ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল স্যালি ইয়েটস প্রেসিডেন্টের খামখেয়ালির বিরুদ্ধে কথা বলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা তাকে বহিষ্কার করা হয়।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিবের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়। এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য প্রণীত একটি আইনি আদেশ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া প্রত্যাখ্যান করে স্যালি বিচার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। সে জন্য স্যালিকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
তার পরিবর্তে এখন ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করবেন ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব ভার্জিনিয়ার অ্যাটর্নি ডানা বোয়েন্টে।
যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী কর্মসূচি ৪ মাসের জন্য স্থগিত এবং ৭টি মুসলিম দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করে যে নির্বাহী আদেশ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুক্রবার জারি করেছেন, তা কার্যকর করতে বিচার বিভাগকে নিষেধ করেন ফেডারেল সরকারের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা ইয়েটস।
তিনি বলেছিলেন, ট্রাম্পের আদেশ আইনসম্মত কি না- সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন।
ওই বক্তব্যের পরপরই টুইটারে ট্রাম্পের তীব্র প্রতিক্রিয়া আসে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এখনো ওবামার অ্যাটর্নি জেনারেল আছে। ‘নিখাঁদ রাজনৈতিক কারণে’ তার নিয়োগ করা কর্মকর্তাদের মনোনয়নে দেরি করিয়ে দিতে ডেমোক্রেটিক পার্টি কাজ করছে।
এরপর হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইয়েটস বিচার বিভাগের সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করেছেন।
নির্বাহী আদেশের প্রথম দিনেই যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে এবং বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হয় মুসলমানরা। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়। সংস্কৃতি কর্মীরা এর প্রতিবাদ জানান। নোবেল বিজয়ী শিক্ষা অধিকারকর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতিষ্ঠাতা, বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ট্রাম্পের এ নিষেধাজ্ঞাকে মুসলিমবিরোধী নিষেধাজ্ঞা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। এ নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা।