ভাবখানা ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো। যিনি জানিয়েছেন, নিজের ব্যবসা যে ভাবে চালাই, ঠিক সেই ভাবে আমেরিকা চালাবো। সত্যিই তাই করলে কেলেঙ্কারি। রাজনীতি, ব্যবসা নয়। সেখানে লাভ-ক্ষতির অঙ্ক চলে না। নিজেকে উজাড় করে দেয়াটাই শর্ত। পাওয়া নয় দেয়াটাই দায়িত্ব।
কারো কোথাও গাফিলতি মানবেন না হাসিনা। আগাছার মতো অপদার্থদের ছাঁটবেন। আগামী নির্বাচনে টিকিট দেবেন না। বাতিলের তালিকায় এমন অনেকে আছেন যারা প্রথমবার সাংসদ হয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন। পদের গ্ল্যামারটা উপভোগ করছেন। কাজের বেলায় অষ্টরম্ভা। তারা পার পাবেন না। সাংসদ বাতিলের প্রাথমিক তালিকায় আপাতত চট্টগ্রামের পাঁচ, সিরাজগঞ্জে চার, নোয়াখালীতে চার। যশোর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনায় নয়। নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, চাঁপাই নবাবগঞ্জ, নাটোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, বরিশাল, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজারে ২৬। দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, মেহেরপুর, মাগুরা, খুলনা, ভোলা, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, জয়পুরহাট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, চাঁদপুর, ফেনী, রংপুর, লক্ষ্মীপুরে ১৭।
সাংসদের কাজ নির্লক্ষ্য নয়। নিক্তির ওজনে মাপা হচ্ছে প্রতিটি পদক্ষেপ। ২০১৪’র ৫ই জানুয়ারি নবম সাধারণ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৪ প্রার্থী জয়ী। সংসদের ৩০০ আসনে এত জনের লড়াই ছাড়া সাফল্য কম কথা নয়। ভোট কী বুঝলেন না। অথচ ভোটে জিতলেন। সেটাই কাল হয়েছে অনেক সাংসদের। এবার সেটা হবে না। গতবার প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনে নামেনি। এবার নামছে, অগোছালো ঘর গোছাচ্ছে। ভারতবিদ্বেষকে ইস্যু করলে সুবিধা কিনা ভেবে দেখছে। ভোটের ময়দানে নেমে গো-হারা হারতে তারা রাজি নয়। ২০১৯-এর ২৮শে জানুয়ারির তিন মাস আগে থেকে যে কোনো দিন ভোট। সময় আছে। আওয়ামী লীগের পিছিয়ে পড়া সাংসদরা চাইলে স্পিড বাড়িয়ে এগোতে পারেন। লেট করা ট্রেন গতি বাড়িয়ে যেভাবে টাইম মেকআপ করে সেভাবেই।