অগ্রসর রিপোর্ট : অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে একটি গর্বের দিন, অবিস্মরণীয় দিন। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে না হতেই পাকিস্তানিরা আমাদের মায়ের ভাষা বাংলাকে কেড়ে নিতে চায়। কায়েদ-ই-আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা দিলেন, ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।’
দিনটিতে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এছাড়া জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ পৃথক বাণী দিয়েছেন।
সর্বপ্রথম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলার ছাত্রসমাজ এই ঘোষণার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠে রাজপথে স্লোগান দিয়েছিল, ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই।’ মায়ের ভাষার অধিকার ও প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ছিল বাঙালি জাতির সকল বীরত্বগাথা অর্জনের প্রথম সোপান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকার কারণে কারাবরণ করতে হয়েছিল। এ দিনটি বাঙালির আত্মচেতনা, অন্যায় ও শোষণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করতে শিখিয়েছে। এই দিনটি বাঙালি জাতি হিসেবে আত্মপ্রতিষ্ঠা, আত্মবিকাশ ও আত্মবিশ্লেষণের দিন।
অমর একুশের সংগ্রামে শহীদ ভাষা সংগ্রামী রফিক, শফিক, সালাম, বরকত ও জব্বার-এর পুণ্যস্মৃতি ও চেতনাকে বুকে ধারণ করেই ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের মতো নিজের জীবনের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে অসংখ্য বীরযোদ্ধা মুক্ত করেছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি, প্রিয় বাংলাদেশকে। পৃথিবীর বুকে দিয়েছে লাল সবুজের পতাকাসংবলিত একটি মানচিত্র, দিয়েছে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ।
একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথমেই পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা, বিরোধী দলের নেতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন ঢাকায় অবস্থিত বিদেশি মিশন ও দাতা সংস্থার কূটনীতিকরা। তাদের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে প্রস্থানের পর সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।
প্রিয় মাতৃভাষার আত্মমর্যাদা, অধিকার রক্ষা, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত চরম ত্যাগে দীপ্ত শহীদদের রক্তে রঞ্জিত দিবসটি বাঙালি জাতির সাথে প্রতিবারের ন্যায় এবারো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শ্রদ্ধাবনচিত্তে স্মরণ ও পালন করবে।
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি স্মরণে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০১৭ পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে : ভোর সাড়ে ৬টায়-সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবনসহ সারাদেশে সংগঠনের সকল শাখা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় কালো ব্যাজ ধারণ, প্রভাতফেরি সহকারে আজিমপুর কবরস্থানে শহীদদের কবরে ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন (নিউ মার্কেটের দক্ষিণ গেট থেকে প্রভাতফেরি শুরু হবে)।
২২ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেল ৩টায় আলোচনা সভা। স্থান : কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটশন মিলতনায়তন, খামারবাড়ী, ফার্মগেট। সভাপতিত্ব করবেন : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা। আলোচনা করবেন জাতীয় নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি স্মরণে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সকল কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীসহ সংগঠনের সকল সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। – See more at: http://www.dainik-destiny.com/details.php?id=49056#sthash.OeEESz7n.dpuf
দিনটিতে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এছাড়া জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ পৃথক বাণী দিয়েছেন।
সর্বপ্রথম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলার ছাত্রসমাজ এই ঘোষণার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠে রাজপথে স্লোগান দিয়েছিল, ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই।’ মায়ের ভাষার অধিকার ও প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ছিল বাঙালি জাতির সকল বীরত্বগাথা অর্জনের প্রথম সোপান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকার কারণে কারাবরণ করতে হয়েছিল। এ দিনটি বাঙালির আত্মচেতনা, অন্যায় ও শোষণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করতে শিখিয়েছে। এই দিনটি বাঙালি জাতি হিসেবে আত্মপ্রতিষ্ঠা, আত্মবিকাশ ও আত্মবিশ্লেষণের দিন।
অমর একুশের সংগ্রামে শহীদ ভাষা সংগ্রামী রফিক, শফিক, সালাম, বরকত ও জব্বার-এর পুণ্যস্মৃতি ও চেতনাকে বুকে ধারণ করেই ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের মতো নিজের জীবনের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে অসংখ্য বীরযোদ্ধা মুক্ত করেছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি, প্রিয় বাংলাদেশকে। পৃথিবীর বুকে দিয়েছে লাল সবুজের পতাকাসংবলিত একটি মানচিত্র, দিয়েছে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ।
একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথমেই পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা, বিরোধী দলের নেতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন ঢাকায় অবস্থিত বিদেশি মিশন ও দাতা সংস্থার কূটনীতিকরা। তাদের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে প্রস্থানের পর সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।
প্রিয় মাতৃভাষার আত্মমর্যাদা, অধিকার রক্ষা, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত চরম ত্যাগে দীপ্ত শহীদদের রক্তে রঞ্জিত দিবসটি বাঙালি জাতির সাথে প্রতিবারের ন্যায় এবারো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শ্রদ্ধাবনচিত্তে স্মরণ ও পালন করবে।
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি স্মরণে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০১৭ পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে : ভোর সাড়ে ৬টায়-সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবনসহ সারাদেশে সংগঠনের সকল শাখা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় কালো ব্যাজ ধারণ, প্রভাতফেরি সহকারে আজিমপুর কবরস্থানে শহীদদের কবরে ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন (নিউ মার্কেটের দক্ষিণ গেট থেকে প্রভাতফেরি শুরু হবে)।
২২ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেল ৩টায় আলোচনা সভা। স্থান : কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটশন মিলতনায়তন, খামারবাড়ী, ফার্মগেট। সভাপতিত্ব করবেন : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা। আলোচনা করবেন জাতীয় নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি স্মরণে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সকল কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীসহ সংগঠনের সকল সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। – See more at: http://www.dainik-destiny.com/details.php?id=49056#sthash.OeEESz7n.dpuf