স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরাপদ অভিবাসনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেছেন, অভিবাসীদের কল্যাণ একটি বৈশ্বিক দায়িত্ব।
জাতিসংঘের অভিবাসন সংক্রান্ত ৭-সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আজ সংসদ ভবনে তাঁর কার্যালয়ে দেখা করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন জাতিসংঘ মহাসচিবের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি স্যার পিটার সাদারল্যান্ড।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহ্সানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, শেখ হাসিনা নিরাপদ অভিবাসনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেছেন, অর্থনৈতিক কারণে সৃষ্ট অভিবাসীদের দুর্যোগ ও দুরবস্থা থেকে রক্ষা করা বৈশ্বিক দায়িত্ব।
এ প্রসঙ্গে তিনি জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধির ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, তার কর্মকান্ড অভিবাসন বিষয় নতুন গতি এনে দিয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বর্তমানে মানবিক দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তীব্র শীতের ভোগান্তি থেকে নারী ও শিশুদের রক্ষায় আমরা বিশেষ নজর দিয়েছি।
স্যার পিটার অভিবাসন ইস্যুতে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশী সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করে তারা সন্তুষ্ট।
এ বছর অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পূর্বে জাতিসংঘের বিশেষ অধিবেশনে নিরাপদ অভিবাসনের বিষয় সফল সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালনের জন্য পিটার সাদারল্যান্ড প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।
শেখ হাসিনা ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের পর তাঁর প্রবাস জীবনের কথা উল্লেখ করে বলেন, সে সময় তিনি ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা ইউরোপ এবং ভারতে ৬ বছর শরণার্থী হয়ে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন। কারণ, সে সময় বাংলাদেশের শাসকরা তাদের দেশে প্রবেশ করতে দেয়নি।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম ও প্রবাসী কল্যাণ সচিব খন্দকার মোহাম্মদ ইফতেখার হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।