অগ্রসর রিপোর্ট : রাজধানীর গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের মূল নকশার বাইরে অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকানের দুই তৃতীয়াংশ গত দশ দিনে উচ্ছেদ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এ সপ্তাহের মধ্যে মার্কেটটির বাকি সব অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছে ডিএসসিসি। মার্কেটটিতে নকশা বহির্ভূত দোকান সংখ্যা ৭৫৩টি।
রবিবার ডিএসসিসি’র প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের দুই তৃতীয়াংশ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। বৃহস্পতিবারের মধ্যে মার্কেটের নকশা বহির্ভূত সব দোকান উচ্ছেদ করে মার্কেট আমরা পুরোপুরি দখলমুক্ত করব। ১৭ ডিসেম্বর প্রথম দিন সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটটিতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে ডিএসসিসি। উচ্ছেদ ঠেকাতে চারজন আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে মানববন্ধন ও নানান দেন দরবার চালান দোকান মালিকরা। তারা দাবি করেন, হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকার পরেও করপোরেশন তাদের দোকান ভেঙে দিচ্ছে। নিজেদের অবস্থানে অটল থেকে প্রথম দিনের অভিযানে মার্কেটের বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয় নগর কর্তৃপক্ষ।
সেদিনই বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের বেঞ্চ দোকান উচ্ছেদের ওপর স্থিতাবস্থা স্থগিত করেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও মেজবাহুর রহমান শুভ।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী মেজবাহুর রহমান শুভ বলেন, গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের দোকান উচ্ছেদের ওপর হাইকোর্টের তিন মাসের জন্য স্থিতাবস্থা আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন। এর ফলে ওই মার্কেটে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে আর কোনো বাধা রইল না।
এরপর গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো মার্কেটটিতে ফের উচ্ছেদ চালায় ডিএসসিসি। প্রথম ও দ্বিতীয় দিন মিলে উচ্ছেদ হয় সাড়ে তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা। এরপর থেকে উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রেখেছে নগর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে মার্কেটের মূল নকশার বাইরে দোকান তৈরি করে তা সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছে হাতবদল করেছে মার্কেট কর্তৃপক্ষ। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের ভাষ্যমতে, ৭৫৩টি দোকান হাতবদলে মার্কেট কর্তৃপক্ষ লোপাট করেছে কোটি কোটি টাকা।