অর্থমন্ত্রী এ এম এ মুহিত বৃহস্পতিবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ওষুধ সামগ্রী রফতানি দেশের একটি বড় অর্জন। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) কাজ থেকে এর অনুমোদন পাওয়া একটি কঠিন কাজ।
তিনি বলেন, ‘য্ক্তুরাষ্ট্রে সবচেয়ে কঠোর যে কয়েকটি নিয়ন্ত্রণ সংস্থা রয়েছে তার একটি হলো খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন।’
যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো প্রেসক্রিপশন মেডিসিন শিপমেন্ট উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রথমবারের মতো ওষুধ সামগ্রী রফতানি উপলক্ষে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড (বিসিএল) নগরীর একটি হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এই অর্জনের জন্য বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসকে অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এটি দেশের ফার্মাসিউটিউক্যালস খাতের অগ্রগতি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাট,বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ও বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান এমপি।
মার্সিয়া বার্নিকাট বলেন, মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমোদন পাওয়া একটি দীর্ঘ ও কঠিন প্রক্রিয়া। কারণ, ‘এফডিএ’র কাজ হলো সর্বোচ্চ মান সমুন্নত রাখা এবং আমেরিকান ভোক্তাদের রক্ষা করা।’
তিনি বলেন, ‘এটি বেক্সিমকোর কঠোর পরিশ্রমের একটি ফল। সেই সঙ্গে তাদের পণ্যের মান বজায় রাখা- যে কারণে বাংলাদেশ প্রথম এফডিএ অনুমেদিত ওষুধ যুক্তরাষ্ট্রে রফতানির এই অনুষ্ঠান উদযাপনে সক্ষম হয়েছে।’
এদিনকে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে ওষুধ শিল্পের জন্য অমরা একটি নতুন যুগ শুরু করলাম।’
নাজমুল হাসান বলেন, ‘এই উদ্যোগ বিশ্বব্যাপী আমাদের পণ্য রফতানির আকাংখার সঙ্গে যুক্ত।’
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস দেশের সবচেয়ে বৃহত্তর ওষুধ রফতারিকারক প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ৫০০ রকমের ওষুধ সামগ্রী উৎপাদন করছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।