অগ্রসর রিপোর্ট:সন্ত্রাসবাদে জড়িত সন্দেহে কুয়ালালমপুরে গ্রেপ্তারের পর যে বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে, তিনি বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করছিলেন বলে খবর দিয়েছে মালয়েশিয়ার একটি সংবাদ মাধ্যম।
মালয়েশিয়ার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে স্টার অনলাইন শুক্রবার এক প্রতিবেদনে লিখেছে, ৩৭ বছর বয়সী ওই রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী গুলশান হামলায় জড়িত এক সন্দেহভাজনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।
“কর্তৃপক্ষ মনে করছে, ওই ব্যক্তি নিজের দেশে হামলা করার পরিকল্পনায় ছিলেন। নিজের দেশের লোকজনের সঙ্গে তিনি নিয়মিত বৈঠকও করতেন,” বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশে একে-৪৭ রাইফেল পাচারের সঙ্গেও তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার পত্রিকাটি।
মালয়েশিয়া পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের বুকিত আমান শাখা গত ২ অগাস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসবাদে জড়িত সন্দেহে ওই বাংলাদেশিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে বিদেশি তিনজনকে ইতোমধ্যে যার যার দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান দেশটির পুলিশ মহাপরিদর্শক খালিদ আবু বকর।
মালয়েশিয়ার পুলিশ বা সংবাদমাধ্যমগুলো ওই চারজনের নাম প্রকাশ করেনি। পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশি ওই ব্যক্তি কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাংয়ে একটি রেস্তোরাঁ চালাতেন। গত ১৯ অগাস্ট তাকে গ্রেপ্তারের পর ২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।
একটি ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনের ব্যবহারের জন্য অস্ত্র পাচারে’ জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে ওই বাংলাদেশির বিরুদ্ধে। তার নামে ইন্টারপোলে রেড নোটিসও জারি হয়েছিল বলে মালয়েশিয়ার পুলিশ জানিয়েছে।
দিয়ে স্টার অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই বাংলাদেশি গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় জড়িত যে সন্দেহভাজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন বলা হচ্ছে, তার নাম আন্দালিব আহমেদ।
মোনাশ ইউনিভার্সিটির মালয়েশিয়া ক্যাম্পাসের সাবেক ছাত্র আন্দালিব ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় থাকার পর ইস্তাম্বুলে পাড়ি জমান বলে জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
গত ১ জুলাই গুলশানে নজিরবিহীন সেই জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। পরদিন ভোরে কমান্ডো অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হন, যাদের একজনের নাম আন্দালিব আহমেদ বলে সে সময় ফেইসবুকে আলোচনা শুরু হয়। তবে পরে পুলিশ নিশ্চিত করে, নিহতদের মধ্যে কেউ আন্দালিব নন।
মালয়েশিয়ার স্টার অনলাইন যে আন্দালিবের কথা বলছে, তিনি অন্য কেউ কি-না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কুয়ালালামপুর থেকে যে বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে, তার বিষয়েও কোনো তথ্য বাংলাদেশের পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
কুয়ালালমপুরে গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে বাকি তিনজন নেপাল, মরক্কো ও মালয়েশিয়ার নাগরিক বলে দেশটির পুলিশ জানিয়েছে।