বাংলাদেশে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সতর্ক করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এরই অংশ হিসেবে আজ ঢাকায় দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের নিয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
এতে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য আলেমরা অংশ নেবেন।
সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে বিভিন্ন মাদ্রাসা এবং আলেমদের ভূমিকা কি হতে পারে সে বিষয়ে এই সম্মেলনে দেশের সমস্ত ফাজিল ও কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ও শিক্ষক প্রতিনিধিরা থাকবেন।
দেশে বর্তমানে ফাজিল ও কামিল মিলিয়ে প্রায় ১৩শ মাদ্রাসা রয়েছে। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় এগুলোর নিয়ন্ত্রণ করে থাকে ।
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে সন্ত্রাসের বিপক্ষে ইসলামের যে অবস্থান সে বার্তা তুলে ধরাই তাদের লক্ষ্য।
অন্যায়ভাবে নির্যাতন, হত্যা কিংবা আত্মহত্যা ইসলাম অনুমোদন করে না।
মাদ্রাসাগুলোর নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানটির উপাচার্য জানান “ তারা (সম্মেলনে অংশ নেয়া অধ্যক্ষ ও শিক্ষক) নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে জঙ্গিবাদ বিরোধী বার্তা দেবেন । কেউ যেন বিভ্রান্ত হয়ে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে না পড়ে সে বিষয়ে সতর্ক করবেন”।
খেলাধুলা, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে শিক।সার্থীদের অংশগ্রহণের বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা হবে বলেও তিনি জানান।
কিন্তু বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলোতে সংস্কৃতি চর্চা প্রায় হয় না বললেই চলে।
এ প্রসঙ্গে মিস্টার আহসানউল্লাহ বলেন,“অতীত থেকে বর্তমানে উন্নতি হচ্ছে। মাদ্রাসাগুলো আধুনিক ধারায় নিজেদের সাজিয়ে নিচ্ছে। তারা কোরআন হাদিসের পাঠ যেমন গ্রহণ করছে একইসঙ্গে অন্যান্য বইপত্রও পড়ছে। টেলিভিশন বা পত্র-পত্রিকার সাথেও তাদের যোগাযোগ বাড়ছে । দেশকে কিংবা দেশের সংস্কৃতিকেও তারা বুঝতে পারছে”।
জাতীয় সংগীত বা জাতীয় দিবসগুলো মাদ্রাসায় উদযাপন করা হচ্ছে। বিতর্কসহ সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা হচ্ছে।
কোনও কোনও মাদ্রাসায় বেশি হচ্ছে, কোনও কোনও মাদ্রাসায় কম হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় জঙ্গিবাদের উত্থানের প্রসঙ্গে বিভিন্ন সময় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ এসেছে।
এই ইমেজ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কোনও নির্দেশনা থাকে কি-না জানতে চাইলে উপাচার্য জানান, মাদ্রাসাগুলোর প্রতি বিভিন্ন নির্দেশনা রয়েছে ।
সেগুলো হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন নির্দেশনা, শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির কারণ খতিয়ে দেখা এবং শিক্ষকদের আচরণ পর্যবেক্ষণ করা।
সুত্রঃ বিবিসি