![মন্ত্রিসভায় ১৮০৮ কোটি টাকার ৯টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন](http://www.abnews24.com/assets/images/news_images/2016/10/26/govt_41229.jpg)
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ‘পল্লী বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণের মাধ্যমে ১৫ লাখ গ্রাহক সংযোগ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কন্ডাকটর ও আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল ক্রয়ের একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের অধীনে ৫টি লটে এসব পণ্য ক্রয়ে মোট ব্যয় হবে ৩৬২ কোটি ৭ লাখ টাকা। বৈঠকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির আওতায় বিজেএমসির কাছ থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয় এক কোটি ২৫ লাখ পিস হেসিয়ান বস্তা ক্রয় করার একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। প্রতিটি বস্তার দাম ৫৪ টাকা হিসেবে মোট ব্যয় হবে ৬৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন (আইডিএ) এবং বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহায়তায় এলজিইডির অধীনে ‘বহুমূখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র’শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ভোলা জেলায় ৪২টি সাইক্লোন শেল্টার ও এর সঙ্গে সংযোগ সড়ক নির্মাণের একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তমা কন্সট্রাকশন। আর এতে ব্যয় হবে ২৪২ কোটি টাকা।
উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়কে দীর্ঘ সেতু নির্মান প্রকল্পের আওতায় কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলাধীন গজারিয়া জিসি-কুলিয়ারচর হেড কোয়ার্টার রাস্তায় ৫৩০০ মিটার চেইনেজে কালী নদীর ওপর ৫২০ দশমিক ৬০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মান কাজের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় কমিটি। ব্রীজটি নির্মাণে ব্যয় হবে ৭১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এ প্রকল্পটিও বাস্তবায়ন করবে তমা কন্সট্রাকশন।
এছাড়াও দেশর ৮টি সিটি করপোরেশনে সোলার পাওয়ার ভিত্তিক এলইডি সড়ক বাতি স্থাপনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। টার্নকি ভিত্তিতে এসব বাতি স্থাপন করা হবে। আটটি পৃথক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এসব বাতি স্থাপনের কাজ করবে। এ জন্য মোট ব্যয় হবে ১৫০কোটি ৭২ লাখ টাকা।
এর আগে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।বৈঠকে কোম্পানি আইন,১৯৯৪ এর আওতায় নিবন্ধিত সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানির ক্রয় অনুমোদন এখতিয়ার পর্যালোচনা করা হয়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ থেকে সরকারি কোম্পানিগুলো ক্রয় ক্ষমতা কমানোর সুপারিশ করা হয়েছিল।
এক্ষেত্রে তারা কোম্পানিগুলো নির্দিষ্ট পরিমাণের বাইরে কোন কেনাকাটা করতে পারবেন না বলে সুপারিশ করেছিল। এক্ষেত্রে ক্যাটাগরি অনুযায়ী ৫০০, ২০০ ও ৫০ কোটি টাকার বেশি ক্রয় করতে হলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদকে মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন নেওয়ার প্রস্তাব করেছিল। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।