অগ্রসর রিপোর্ট :পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) যুক্ত হচ্ছে নতুন ব্যান্ডউইথ। ২০২২ সাল নাগাদ কোম্পানিটিতে নতুন এই ব্যান্ডউইথ যুক্ত হবে। এই সময়ে কোম্পানিটির ব্যান্ডউইথ ৯০০ থেকে ১৬০০ জিবিপিএস পর্যন্ত বাড়তে পারে।
কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে জানা গেছে, বর্তমানে কোম্পানিটির ব্যান্ডউইথ ১৯০০ জিবিপিএস।এর মধ্যে এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৫ (এসএমডব্লিউ-৫) সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেম লাইট আপ#৩ (এলইউ#৩) প্রোগ্রামের আওতায় ১২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আছে। সম্প্রতি কুয়াকাটা-মার্সেই (ফ্রান্স) রুটের সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে ১০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ যুক্ত হয়েছে। আর দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল (এসএমডব্লিউ-4) এর আওতায় বর্তমানে ৬০০ জিবিপিএস ক্যাপাসিটি আছে।
কোম্পানিটি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ২০২২ সালের মধ্যে এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৫ (এসএমডব্লিউ-৫) সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেম লাইট আপ#৩ (এলইউ#৩) প্রোগ্রামের আওতায় সিঙ্গাপুর-কুয়াকাটা রুটে নতুন করে ৯০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ যুক্ত হবে। এছাড়া কোম্পানির পক্ষ থেকে কনসোর্টিয়ামকে আরও ৭০০ জিবিপিএস ব্যান্ড্ইথ দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে এসএমডব্লিউ-৪ কনসোর্টিয়াম কাজ শুরু করেছে এবং আশা করা যাচ্ছে যে, ২০২২ সালের মাঝামাঝি নাগাদ এই ক্যাপাসিটি চালু করা সম্ভব হবে। আর এই দুই ক্যাবল থেকে নতুন ব্যান্ডউইথ যুক্ত হলে কোম্পানিটির মোট ব্যান্ডউইথের পরিমাণ ১৯০০ জিবিপিএস থেকে বেড়ে ৩৫০০ জিবিপিএসে উন্নীত হবে।
বিএসসিসিএলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় এএমডব্লিউ-৬ সাবমেরিন ক্যাবল চালু হওয়ার আগে দেশে ব্যান্ডউইথের ঘাটতি দেখা দিতে পারে মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, যা বাস্তব অবস্থার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এর প্রেক্ষিতে তারা ব্যান্ডউইথের বর্তমান অবস্থা,সৌদি টেলিকমসহ কিছু বিদেশি কোম্পানির কাছে ক্যাপাসিটি ট্রান্সফার ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার দেশে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আলোকে সাউথ ইস্ট এশিয়া-মিডেলইস্ট -ওয়েস্টার্ন ইউরোপ-৬ (এসইএ-এমই-ডব্লিউ-৬) কনসোর্টিয়ামের সাথে যুক্ত হচ্ছে, যা এসএমডব্লিউ-৬ নামে পরিচিত। এর আওতায় স্থাপনের জন্য ঠিকাদার চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। চলতি বছরের জুলাই মাসের মধ্যে এসএমডব্লিউ-৬ সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের জন্য এসএমডব্লিউ-৬ কনসোর্টিয়ামের সকল সদস্যগণের মধ্যে কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড মেইনটেনেস এগ্রিমেন্ট (সি অ্যান্ড এমএ) চুক্তিসহ সাপ্লাইয়ার-এর সাথে চুক্তি স্বাক্ষরকরণ ও উল্লিখিত সাবমেরিন ক্যাবলটি স্থাপনের কাজ শুরু হওয়ার কথা। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি নাগাদ দেশ তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে সংযুক্ত হতে পারবে। এই ক্যাবলের মাধ্যমে পূর্ব ও পশ্চিম- উভয় প্রান্তে আলাদা আলাদাভাবে কমপক্ষে আরো ৬০০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ যুক্ত হবে বিএসসিসিএলের ক্যাপাসিটিতে।