এর আগে, ফ্লাইটে ত্রুটির ঘটনায় তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ফৌজদারি মামলা করার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, ‘মামলার খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজিমুল বারীর নেতৃত্বে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। যেকোনো সময় মামলা দায়ের হতে পারে।’
প্রসঙ্গত, গত ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ৭৭৭ বিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাতে জরুরি অবতরণ করে। ত্রুটি মেরামতের করে সেখানে ৪ ঘণ্টা অনির্ধারিত যাত্রাবিরতি পর ওই উড়োজাহাজেই প্রধানমন্ত্রী সফরসঙ্গীরা বুদাপেস্টে পৌঁছান। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ২টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। যার মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চিফ টেকনিক্যাল কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ফজলে মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি হয় এবং মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে আরেকটি কমিটি করা হয়।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও পর্যটন) স্বপন কুমার সরকারকে আহ্বায়ক করে ৪ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটিতে আরও রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের প্রতিনিধি, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ফ্লাইট সেফটি অ্যান্ড রেগুলেশন) চৌধুরী এম জিয়াউল কবির, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেটারিয়াল মেনেজম্যান্ট)। এর আগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে মোট ৯ প্রকৌশলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।