স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তৃতীয় আসরের ফাইনাল ম্যাচে বরিশাল বুলসের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস জয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে মাঠ ছেড়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। অলক কাপালীর দৃঢ়তায় ম্যাচের ১ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেটের জয় পায় মাশরাফিবাহিনী। এ নিয়ে বিপিএলের ৩ আসরেই চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য ছিলেন মাশরাফি।
১৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইমরুল কায়েসের অর্ধশত রানের ঝড়ো ইনিংসে জয়ের সুবাস পেতে যাওয়া কুমিল্লা হঠাৎ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল। জয়-পরাজয়ের দোলাচলে থাকা ম্যাচটি একপর্যায়ে বরিশালের দিকেও ঝুঁকে পড়েছিল। ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ায় শিরোপা স্বপ্ন ফিঁকে হয়ে পড়েছিল কুমিল্লার। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে অলক কাপালীর দৃঢ় ব্যাটিংয়ে শেষ হাসি হাসে কুমিল্লাই। অলক কাপালী ২৮ বলে অপরাজিত ৩৯ রান করেছেন। এর আগে কুমিল্লার পক্ষে ইমরুল কায়েস ৩৭ বলে ৫৪ রান ও আহমেদ শেহজাদ ২৪ বলে ৩০ রান করেন। বরিশালের পক্ষে ২ টি উইকেট নিয়েছেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ও কেভিন কুপার।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বরিশাল বুলস নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ করে। মঙ্গলবার সন্ধা সাড়ে ৬ টায় মীরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া ম্যাচের তৃতীয় ওভারের শেষ বলে আসহার যাইদির বলে দলীয় ১৯ রানে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে পড়েন বরিশালের ওপেনার মেহেদী মারুফ। পরে ৭.৫ ওভারে স্টিভেন্সের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান প্রসন্ন। এছাড়া ইনিংসের একাদশ ওভারে ১৯ বলে মাত্র ৯ রান করে মাশরাফির বলে বোল্ড হন সাব্বির রহমান। পরে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ও শাহরিয়ার নাফিসের জুটিতে বরিশালের সংগ্রহ দেড়শ’ ছাড়ায়।
মাহমুদুল্লাহ ৩৬ বলে ৪৮ রানে শেষ ওভারে কুলাসেকারার বলে বোল্ড হলেও শাহরিয়ার নাফিস অপরাজিত থাকেন ৪৪ রানে। ৩১ বলের ইনিংসটিতে তিনি খেলেছেন ৩ ছক্কা ও ২ চারের মার। কুমিল্লার পক্ষে মাশরাফি, যাইদি, কুলাসাকারা, স্টিভেন্স একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে গ্রুপ পর্বের সেরা দল মাশরাফির কুমিল্লা প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল। অন্যদিকে তৃতীয় অবস্থানে থাকা বরিশাল বুলস এলিমেনেটর ম্যাচে ঢাকা গ্লাডিয়েটরসকে হারায়। পরে ফাইনাল নির্ধারনী ম্যাচে সাকিবের রংপুরকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পায় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বরিশাল।