ষ্টাফ রিপোর্টার: আইনজীবীদের সনদসহ পেশাগত বিষয়ের সর্বোচ্চ সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচন আজ বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। সংশোধিত ভোটার তালিকা অনুযায়ী বার কাউন্সিল নির্বাচনে মোট ৪৩,৩০২ জন আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। প্রত্যেক ভোটারকে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও নিজ আইনজীবী সমিতির আইডি কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে। অন্যথায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করা যাবে না বলে জানায় বার কাউন্সিল সূত্র।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বার কাউন্সিল সচিব মোহাম্মদ আলতাফ হোসাইন জানান, নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। সারা দেশের প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে যাবতীয় সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। ২৬ আগস্ট উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আইনজীবীরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এখন একেবারেই শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা। কারণ রাত পোহালেই ভোট। প্রতিটি জেলা বারে সফর, সভা-সমাবেশ, আইনজীবীদের চেম্বার ও লাইব্রেরিতে যেয়ে ভোট প্রার্থনা, ফোন, এসএমএস, ফেসবুক প্রচারণা, প্রতিশ্রুতি সম্বলিত লিফলেটসহ বিভিন্ন উপায়ে প্রার্থী ও প্যানেলের পক্ষে ভোটের প্রচারণা চলেছে ক্রমাগতভাবে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ জুলাই সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ ২৬ আগস্ট নির্বাচন অনুষ্টানে দিন ধার্য করে আদেশ দেয় । গত ২৫ মার্চ বার কাউন্সিল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল, যাতে ভোটের দিন রাখা হয়েছিল ২০ মে। এরপর ৯ এপ্রিল ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়, যাতে ভোটার সংখ্যা দেখানো হয় ৪৮ হাজার ৪৬৫ জন।
বার কাউন্সিল নির্বাচনে ১৪টি সদস্য পদে নির্বাচনের জন্য চূড়ান্তভাবে ৬১ জন প্রার্থী রয়েছেন। ১৪ জন সদস্যের মধ্যে সারা দেশে সনদপ্রাপ্ত আইনজীবীদের ভোটে সাধারণ আসনে ৭ জন এবং দেশের ৭টি অঞ্চলের লোকাল আইনজীবী সমিতির সদস্যদের মধ্য থেকে একজন করে ৭ জন নির্বাচিত হবেন। সাধারণ আসনে ৭ জন সদস্যের বিপরীতে ৩২ জন প্রার্থী এবং ৭টি অঞ্চলের লোকাল আইনজীবী সমিতির ৭টি সদস্য পদে মোট ২৯ জন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন।
প্রতি তিন বছর অন্তর বার কাউন্সিল নির্বাচন হয়। বার কাউন্সিল ১৫ জন সদস্যের সমন্বয়ে পরিচালিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে রাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল পদাধিকার বলে এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। আর বাকি ১৪ জন আইনজীবীদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। ১৪ জনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে একজন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে থাকেন।
সাধারণ আসনে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ সমর্থিত প্রার্থীরা হলেন- সিনিয়র আইনজীবী সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার ও ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু, অ্যাডভোকেট পরিমল চন্দ্র গুহ (পি.সি গুহ), অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ.ম রেজাউল করিম।
গোলাপী প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন-অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, শাহ মো. খসরুজ্জামান,একেএম জগলুল হায়দার আফ্রিক,আব্দুল মোমেন চৌধুরী, সারওয়ার-ই-দীন, মো. হেলাল উদ্দিন ও মো.শামসুল হক।