স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর তেজগাঁও অফিসে সফররত ভারতের বিমান বাহিনী প্রধান মার্শাল অরূপ রাহা এবং তার স্ত্রী লিলি রাহা আজ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
এ সময় তারা অর্থনীতি, যোগাযোগ এবং দুই দেশের বিমানবাহিনীসহ বিভিন্ন খাতে পারস্পরিক স্বার্থ ও সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবেশী দেশগুলোর উন্নয়নের জন্য দেশগুলোর মধ্যে আরো অর্থনৈতিক কার্যক্রম জোরদারে বিবিআইএন উদ্যোগ ও বিসিআইএম অর্থনৈতিক করিডোরের মতো গৃহীত আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।
তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধকালে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সহযোগিতা ও ত্যাগের কথা স্মরণ করেন।
তিনি বিশেষ করে যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ঢাকা বিমান যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা কারাদশা থেকে এই যুদ্ধ প্রত্যক্ষ করেছেন।
শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকান্ডের পর ভারতে তাঁর ৬ বছর প্রবাস জীবনের কথা স্মরণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিবিআইএন উদ্যোগ এবং বিসিআইএম করিডোরের মতো উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা একদা কার্যকর ভূমিকা রাখবে, দেশগুলোর মধ্যে আরো অর্থনৈতিক কার্যক্রম জোরদারের একটি নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে।
প্রধানমন্ত্রী সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দরে পরিণত করতে তাঁর সরকারের উদ্যোগের কথা ভারতীয় বিমানবাহিনী প্রধানকে অবহিত করে বলেন, এই বিমানবন্দর থেকে প্রতিবেশী দেশগুলো কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তাঁর শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারে প্রতিবেশী দেশগুলোর নেতাদের অফিসিয়াল সফরের পাশাপাশি আরো ব্যক্তিগত সফরের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সীমান্তহাট বৃদ্ধির ওপরও জোর দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বলেন, উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোর লন্ডন ও ইউরোপমুখী নাগরিকরা ট্রানজিটের জন্য এই বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে।
বাংলাদেশ সফরকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করে ভারতের বিমানবাহিনী প্রধান বলেন, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বলেন, দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা কয়েক বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, সামরিক প্রশিক্ষণ পর্যায় অনেক সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা খাতে একত্রে কাজ করতে পারে।
ভারতীয় বিমানবাহিনী প্রধান বলেন, ১৯৭১ সালে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ভারতীয় বীর যোদ্ধাদের বাংলাদেশ যে অভ্যর্থনা ও সম্মাননা জানিয়েছে এতে তারা অত্যন্ত খুশি। বাংলাদেশী যোদ্ধাদেরও ভারত সম্মাননা জানাবে।
ভারতের বিমানবাহিনী প্রধান তাদের কাছে থাকা যুদ্ধ বিমান দিয়ে লিবারেশন ওয়ার মিউজিয়ামে অবদান রাখার প্রস্তাব দেন।
প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ এবং ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা অন্যান্যের মধ্যে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
![](https://agrasor.com/wp-content/uploads/2024/04/970-x-90-px-2-1-2.jpg)
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।