অগ্রসর রিপোর্ট:নোয়াখালীর ভাসানচর ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আসা ১৪ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী থেকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় লোকজন। আটকদের মধ্যে আটজন পুরুষ, দুজন নারী ও চার শিশু রয়েছে। বুধবার বিকলে চরএলাহী ৩নং ওয়ার্ড বামনী নদীর হেঞ্জু মাঝির ঘাট নামক এলাকা থেকে রোহিঙ্গাদের আটক করে স্থানীয়রা।
এর আগে গত ১১ জুন একই জায়গা থেকে ১২ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছিল স্থানীয়রা।
বুধবার আটক রোহিঙ্গারা হলেন- ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হারজিনা (২৪), মো. রফিক (২৯), সাবিকুন নাহার (৩৭), জান্নাত উল্যাহ (২), মো. রশিদ (১৭), খায়রুল আমিন (২৪), জাহেদা বেগম (২২), সাইদুল আমিন (৩০), সামছুন নাহার (১), নুর আলম (২০), জাহিদ হোসেন (১৮), রেয়াজুল ইসলাম (২৯), সাইদুর আলম (১৪) ও নুর ইসলাম (৬০)।
আটক রোহিঙ্গারা জানান, তারা ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে দালালের মাধ্যমে ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে করে কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেছিল তারা। কিন্তু দালালরা কৌশলে আমাদের কুতুপালং ঘাটের কথা বলে হেঞ্জু মাঝিরঘাটে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।
চর এলাহী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বুধবার বিকাল ৩টার দিকে আমার ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ১৪ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে স্থানীয় জনতা আমাকে জানায়। আমি আটক রোহিঙ্গাদেরকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে এসে কোম্পানীগঞ্জ থানাকে জানাই এবং পরে পুলিশের কাছে তাদের সোপর্দ করি।’
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, ‘এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে বিদেশি নাগরিক আইনে মামলা করা হবে। বৃহস্পতিবার আটক রোহিঙ্গাদের কারাগারে পাঠানো হবে।’