ষ্টাফ রিপোর্টার- দেশের বন ধ্বংস করে কৃষি জমির বিস্তার, নগরায়নসহ নানা কারণে অনেকটাই অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে বন্যপ্রাণী হাতি। বন বিভাগের তথ্যে এমনটাই জানা যাচ্ছে। এক জরিপে বলা হচ্ছে বাংলাদেশে স্থায়ী ভাবে বসবাসকারী হাতির সংখ্যা ২৩০ থেকে ২৪০টির মত। একদিকে যেমন হাতির জন্য উপযুক্ত পরিবেশের সংকট তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে প্রায়ই হাতির আক্রমণে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। আবার মানুষের হাতেও মারা পড়ছে হাতি। এমনই প্রেক্ষাপটে বুধবার বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে বিশ্ব হাতি দিবস।
শেরপুরের নালিতাবাড়ির বন কর্মকর্তা মোঃ: হাবিবুল্লাহর বিবিসি বাংলাকে বলেন, হাতির নিজস্ব বিচরণ ক্ষেত্রের ভেতরে লোকজন ঘরবাড়ী তৈরি করলে তখন হাতি সেগুলো ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে। তখনই কেবল মানুষের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। এছাড়া হাতি মানুষকে কখনও আক্রমণ করে না। আলো বা শব্দ থেকে অনেকসময় হাতীর মধ্যে ভীতির সৃষ্টি হয়। তখন তারা মানুষকে আক্রমণ করতে উদ্যত হয় বলেও জানান এই বন কর্মকর্তা।
হাতি একটি আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণী সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয়। কলাগাছ, বাঁশ ইত্যাদি হাতির খাবার। হাতি যাতে লোকালয়ে না আসে সেজন্য হাতির খাদ্যাভাব দূর করতে এসব গাছের বাগান করা বা বনাঞ্চল সংরক্ষণ করা জরুরি বলে উল্লেখ করেন মিস্টার হাবিবুল্লাহ।