স্টাফ রিপোর্টার: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আজ সোমবার নির্ভয়ার ধর্ষককে মুক্তি না দেয়ার দিল্লী মহিলা কমিশনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। এর ফলে নাবালক এ ধর্ষকের মুক্তির পথে আর কোন বাধা থাকলো না।
আদালত থেকে বলা হয়েছে, আইন অনুযায়ী নাবালক ধর্ষকের মুক্তি ঠেকানোর আর কোন পথ নেই। কারণ এই ধর্ষককে সংশোধনাগারে আটকে রাখার মতো অন্তর্বর্তী কোন আদেশও জারি করা যায়নি।
বিচারপতি এ কে গোয়েল এবং ইউ ইউ ললিতের অবকাশকালীন বেঞ্চ বলছে, এখন যা কিছু করা হবে তা আইন অনুযায়ীই করা হবে। আমরা আইনের প্রয়োগ করতে বাধ্য।
শনিবার রাতে দিল্লী মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান স্বাতী মালিওয়াল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বাড়িতে ধর্ষককে ছেড়ে না দেয়ার বিষয়ে একটি আবেদন করেন। আজ শুনানিকালে সে আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে বেঞ্চ এসব কথা বলে।
মহিলা কমিশনের আবেদন খার্জি প্রসঙ্গে আদালত আরো বলছে, কিশোর অপরাধ আইন অনুযায়ী এই ধর্ষককে আরো দুবছর সংশোধনাগারে আটকে রাখার কোন সুযোগ নেই। সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদে এরকম কোন বিধান নেই।
এদিকে অপরাধী নাবালক হওয়ায় তার নাম প্রকাশ করা হয়নি। যদিও তার বর্তমান বয়স ২০ বছর। রোববার সন্ধ্যায় ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। তাকে সংশোধনাগার থেকে গোপনে এক অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য ২০১২ সালে দিল্লীতে চলন্ত বাসে এক মেডিক্যাল ছাত্রীকে গণ ধর্ষণ করা হয়। এতে অংশ নেয়া নাবালক ধর্ষকটির কর্মকান্ড ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ ও লোমহর্ষক।
ওই ছাত্রী ঘটনার দুসপ্তাহ পর মারা যায়। এতে ফুঁসে ওঠে গোটা দেশ। অপরাধী ছয়জনের একজন এই নাবালককে তিন বছর সংশোধনাগারে রাখা হয়। বাকী একজন জেলখানায় মারা যায়। অপর চারজনকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়।
এদিকে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর নাম প্রকাশ না করার কারণে সবাই তাকে নির্ভয়া ডাকা শুরু করে। যদিও সম্প্রতি তার মা বলেছেন, মেয়েটির নাম জ্যোতি সিং।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।