এবার গৃহস্থালিতে মিটারভিত্তিক গ্যাসের বিল প্রতি ঘনমিটার ৫ টাকা ১৬ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭ টাকা করা হয়েছে। গাড়িতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত রূপান্তরিক প্রাকৃতিক গ্যাস বা সিএনজির দাম প্রতি ঘনমিটার ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া চা বাগানে গ্যাসের বিল ইউনিট প্রতি ৬ টাকা ৪৫ পয়সা এবং শিল্পকারখানার জন্য ৬টাকা ৭৪ পয়সা করা হয়েছে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম এক ইউনিট থেকে ৭৫ ইউনিটের জন্য নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ টাকা ৮০ পয়সা। যা আগে ছিল তিন টাকা ৫৩ পয়সা। আর ৭৬ ইউনিট থেকে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের দাম ৫ টাকা ১ পয়সা থেকে বৃদ্ধি করে তা ৫ টাকা ১৪ পয়সা করা হয়েছে।
২০১ থেকে ৩০০ ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৫ টাকা ১৯ পয়সা থেকে ৫ টাকা ৩৬ পয়সা, ৩০১ ইউনিট থেকে ৪০০ ইউনিটের মূল্য ৫ টাকা ৪২ পয়সা থেকে ৫ টাকা ৬৩ পয়সা, ৪০১ ইউনিট থেকে ৬০০ ইউনিটের জন্য ৮ টাকা ৫১ পয়সা থেকে ৮ টাকা ৭০ পয়সা এবং ৬০০ ইউনিটের ওপরে ৯ টাকা ৯৩ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৯ টাকা ৯৮ পয়সা করা হয়েছে।
ক্ষুদ্র শিল্পে বিদ্যুতের দাম ৭ টাকা ৪২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭ টাকা ৬৬ পয়সা করা হয়েছে। অনাবাসিক (দাতব্য, মসজিদ, মন্দির, ক্লাব ইত্যাদি) বিদ্যুতের মূল্য ৪ টাকা ৯৮ পয়সা ৫ টাকা ২২ পয়সা এবং রাস্তার বাতির জন্য ৬ টাকা ৯৩ পয়সা থেকে বৃদ্ধি করে ৭ টাকা ১৭ পয়সা করা হয়েছে।
এছাড়া বাণিজ্যিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিদ্যুতে দাম ইউনিট প্রতি ৯ টাকা ৫৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৯ টাকা ৮০ পয়সা করা হয়েছে। বৃহৎ শিল্পে ১১ কিলোভোল্টের ক্ষেত্রে ৭ টাকা ৩২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭ টাকা ৫৭ পয়সা, ৩২ কিলোভোল্টের ৬ টাকা ৯৬ পয়সা থেকে ৭ টাকা ৩৫ পয়সা এবং ৩৩ কিলোভোল্টের জন্য ৭ টাকা ২০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭ টাকা ৪৯ পয়সা করা হয়েছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে ও ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে গণশুনানি করে বিইআরসি।
এ বিষয়ে বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘কোম্পানিগুলো থেকে প্রস্তাব এসেছিল যে দাম বাড়ানো দরকার। ফেব্রুয়ারিতে আমরা শুনানি নিয়েছিলাম। অনেক কিছু বিবেচনা করে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছি আমরা।’ গ্যাসের দাম বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর আর কোথাও এত কম দামে গ্যাস পাওয়া যায় না।’