আজ বুধবার দুপুরে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আল-মাহমুদ ফাইজুল কবীর এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি জামির হোসেন উপস্থিতি ছিলেন।
বাসচালক জামিরকে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় বেপরোয়া চালনার কারণে অবহেলাজনিত মৃত্যুর জন্য (পরিকল্পিত নরহত্যা নয়) দোষী সাব্যস্ত করে আদালত তাকে সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে।
পাশাপাশি তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে।
এ ছাড়া দণ্ডবিধির ৪২৭ ধারায় জামিরকে তার ‘দুষ্কর্মের’ জন্য ক্ষয়ক্ষতির কারণে ২ বছরের কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ১ মাসের সাজার আদেশ দিয়েছে আদালত।
জামিনে থাকা জামিরকে রায়ের পরপরই কারাগারে পাঠানো হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে ৩ পুলিশ সদস্যসহ মোট ২৪ জনের সাক্ষ্য ও জেরার পর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়। ওইদিনই বিচারক রায়ের জন্য ২২ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করে দেন।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জোকা এলাকায় দুর্ঘটনায় মিশুক মুনীর, তারেক মাসুদ, মাইক্রোবাস চালক মোস্তাফিজুর রহমান, প্রোডাকশন সহকারী মোতাহার হোসেন ওয়াসিম ও জামাল হোসেন নিহত হন। এ সময় তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ, শিল্পী ঢালী আল-মামুন ও তার স্ত্রী দিলারা বেগম জলি এবং তারেক মাসুদের সহকারী মনীশ রফিক আহত হন।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বাসচালক জামির হোসেনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।