অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনওয়া পিয়েরে লাঘামে, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এস তাবারেজ বক্তব্য রাখেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য অর্থমন্ত্রী বলেন, জ্ঞানের পরিধি বাড়ানো নিরন্তর প্রচেষ্টা। তাই ছাত্রদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস থাকে, সেই উচ্ছ্বাস কখনো ছাড়বে না। চিরদিন পড়ালেখা করে যেতে হবে। দেশ-জাতির সেবায় নিজেদের ব্যাপৃত রাখারও পরামর্শ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, শিক্ষাবান্ধব সরকার হিসেবে বর্তমান সরকার শিক্ষাকে দারিদ্র্যমুক্তির হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করেছে। শিক্ষার আধুনিকায়নে এরই মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, কারিগরি শিক্ষার সম্প্রসারণ ও মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করার মতো যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। এটা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। বেসরকারি উদ্যোগেও শিক্ষা সম্প্রসারণে এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে ডাচ-বাংলা ব্যাংক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনওয়া পিয়েরে লাঘামে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এই বৃত্তি শিক্ষার্থীদের সুন্দর জীবন গঠনে বিশেষ সহায়ক হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষাকাল জুড়ে বৃত্তি পাবে। প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা পাবে। এছাড়া পাঠ্য উপকরণের জন্য বছরে ২,৫০০ টাকা ও পোশাকের জন্য এক হাজার টাকা দেয়া হবে। অনুষ্ঠানে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে প্রতীকী হিসেবে ৯ জনের হাতে বৃত্তির চিঠি তুলে দেন অর্থমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।