আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জঙ্গিদের জামিনের পক্ষে ওকালতনামা জমা না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ।
আইনজীবী সহকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জঙ্গিদের বেইল পিটিশন মুভ করতে আপনাদের আইনজীবীদের বাধা দেন। জঙ্গিদের পক্ষে ওকালতি বন্ধ করে সামাজিক প্রতিরোধ ত্বরান্বিত করতে হবে।
শনিবার সুপ্রিমকোর্টে শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি বক্তৃতা করছিলেন।
সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নুর মিয়ার সভাপতিত্বে অভিষেক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, এডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন, এডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, এডভোকেট জেডআই খান পান্না, অল ইন্ডিযা ল’ ক্লার্ক’স ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি অশোক কুমার মন্ডল প্রমূখ।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে আইএস নাই। যেটা আছে সেটা হচ্ছে জামায়াতের প্রেতাত্মা। দেশের উন্নয়ন ব্যাহত করার জন্য হলি আর্টিজানে হামলা করা হয়েছে। মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রায় শেষ পর্যায়ে। কিছুতেই যেন এটা শেষ না করতে পারি, সেটাই হচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য’।
তিনি বলেন, দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী আর্টিজেনের ঘটনা ঘটিয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ কিছু করতে পারবে না। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হামলা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ১৬ কোটি মানুষের দেশে এক-দেড়শ মানুষ কিছু নয়। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে তারা কিছুই করতে পারবে না। আমরা এক থাকলে যারা আমাদের জঙ্গি ছবক দিচ্ছে তারাও বিতাড়িত হবে।
জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য প্রসঙ্গে আইন মন্ত্রী বলেন, ঐক্যের একটাই শর্ত-যারা জঙ্গিদের সাথে আছে তাদের সঙ্গে ঐক্য নয়। যারা জঙ্গিদের নির্মূলে আছে তাদের সাথে ঐক্য হতে হবে। এবং সেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হতে হবে।
আইনজীবী সহকারীদের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, যে যেখানে আছেন সে অবস্থাতেই নৃশংস কর্মকান্ড প্রতিরোধ করবেন। নৃশংসতার সঙ্গে জড়িতদের আইন অনুযায়ী বিচার করা হবে।
আইনজীবী সহকারীদের জন্য আইন প্রণয়নের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, সেপ্টেম্বর মাসে আপনাদের হাতে আইন তুলে দেয়া হবে। এজন্য কোন আন্দোলনের প্রয়োজন হবে না।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায়, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশকে আজ ধর্মান্ধ ও জঙ্গিদের দ্বারা ক্ষতবিক্ষত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলাদেশকে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সিরিয়ার মত ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য ষড়যন্ত্রকারীরা উঠেপড়ে লেগেছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা একত্রিত হয়ে দেশে জঙ্গি কার্যক্রম চালাচ্ছে। ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে বিএনপি নেতার বৈঠকের পর থেকে দেশে জঙ্গি হামলা ও জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সমগ্র দেশ আজ ঐক্যবদ্ধ। ঐক্যবদ্ধ শক্তির কাছে জঙ্গিবাদ পরাজিত হতে বাধ্য।
তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশ রয়েছে। যে কোন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তারা আমাদের পাশে থাকবে। তারেক রহমানের রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিচারিক আদালতের রায়ের পর বিএনপি’র আইনজীবীরা উল্লাস করেছিলো। তা থেকে প্রমানিত হয় যে রায় দিয়েছিলো তা ছিলো প্রভাবিত। উচ্চ আদালত সঠিক রায় দিয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।