স্টাফ রিপোর্টার: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারী অব স্টেট অ্যাম্বাসেডর টমাস শ্যানন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ গণতন্ত্রের প্রতি ব্যাপক অঙ্গীকার বজায় রেখে আসছে যা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অন্যতম একটি মূলনীতি’। তিনি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে এ সম্পর্ক জোরদারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
নিউইয়র্কে অবস্থানরত পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম শুক্রবার টমাস শ্যাননের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসময় শ্যানন একথা বলেন।
আজ এখানে প্রাপ্ত এক বার্তায় একথা বলা হয়, ৪৫ মিনিটব্যাপী এই বৈঠকে উভয়ে আইএসআইএস’র বিশ্বব্যাপী হুমকি, জলবায়ু পরিবর্তন, সম্প্রতি বাংলাদেশে বিদেশীদের এবং ব্লগারদের ওপর হামলাসহ অন্যান্য অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এসব মৌলবাদী শক্তি দমনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং সব ধরনের সন্ত্রাস ও সহিংস চরমপন্থার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা শ্যাননকে অবহিত করেন।
বৈঠকের শুরুতে শাহরিয়ার আলম ইউএস আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট অফিসে আনুষ্ঠানিক দায়িত্বভার গ্রহণের জন্য শ্যাননকে অভিনন্দন জানান। শ্যানন এই দায়িত্ব গ্রহনের পর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম হচ্ছেন প্রথম ব্যক্তি যিনি তার সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন ।
শ্যানন প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, গত বছরের ডিসেম্বরে তাঁর বাংলাদেশ সফর ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ফলপ্রসূ।
প্রতিমন্ত্রী দক্ষিণ এশিয়া সফরে বাংলাদেশকে প্রথম গন্তব্যস্থান হিসেবে বিবেচনা করার জন্য শ্যাননকে ধন্যবাদ জানান।
শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিরাজ করছে। নিরাপত্তা, বাণিজ্য, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা এবং গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এ সম্পর্ককে উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এখনই উপযুক্ত সময়।
শাহরিয়ার এবং শ্যানন দুই দেশের জনগণের মধ্যে ইতিবাচক ধারণা তৈরি এবং বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় করতে বিভিন্ন খাতে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার ওপর গুরুত্বরোপ করেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী মার্কিন এ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব স্টেট নিশা দেশাই বিসওয়ালের সঙ্গে বৈঠক এবং অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
দুই দেশকে ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে নিশা দেশাই আসছে দিনগুলোতে ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রতিমন্ত্রী হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সিনিয়র পরিচালক পিটার লাভয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে লাভয় বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের অঙ্গীকার, সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থা মোকাবেলাসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এসব বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
![](https://agrasor.com/wp-content/uploads/2024/04/970-x-90-px-2-1-2.jpg)
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।