স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের (একনেক) নির্বাহী কমিটি ৭৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ের পাঁচটি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
একনেক চেয়ারপার্সন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে একনেক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত চলতি অর্থ বছরের ১৬তম সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়।
পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, মোট প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে সরকার জাতীয় কোষাগার থেকে ৭২৬.৭২ কোটি টাকা এবং বাকি ৩২.৪০ কোটি টাকা পাওয়া যাবে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে।
তিনি বলেন, একনেক অনুমোদিত সকল প্রকল্পই নতুন।
মন্ত্রী বলেন, অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ভূমি ভবন কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ১৩৯.৯৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সাধারণ লোক সহজে ভূমি সংক্রান্ত অধিক সেবা পাবে।
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতর চত্বরে ২০ তলা ফাউন্ডেশনে এবং দু’টি বেজমেন্টে ১৩ তলা ভবন নির্মিত হবে। ২০১৮ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
একনেক সভায় ১৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে রাবার ড্যাম নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করেছে। ২০২০ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ভূ-পৃষ্ঠের পানি ব্যবহার করতে রাবার ড্যাম নির্মাণ করা হবে। পাঁচটি জেলার আটটি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। উপজেলাগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রাম জেলার লোহাগড়া ও আনোয়ারা উপজেলা, কক্সবাজার জেলার চকোরিয়া ও রামু উপজেলা, বান্দরবান সদর, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা, সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলা এবং হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলা।
অপর প্রকল্পগুলো হচ্ছে- ২৩১.৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে পার্টিসিপাটরি রুরাল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের (পিআরডিপি) তৃতীয় ধাপ। স্থানীয় সরকার পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য প্রায় ৬শ’ ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা এবং স্থানীয় সম্পদ ব্যবহারে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
পিআরডিপি দ্বিতীয় প্রকল্প বাস্তবায়নের সফলতার ভিত্তিতে তৃতীয় প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১০ সালের জুলাই থেকে ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত ৬৪টি জেলার ৮৫টি উপজেলার ২শ’ ইউনিয়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। ২০২০ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়িত হবে।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, একনেক ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সাধারণ মানুষে সামনে সরকার গৃহীত উন্নয়ন কর্মকা- তুলে ধরার জন্য ‘শোকজিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের অগ্রগতি অবহিত করা হয়।
তিনি বলেন, প্রকল্পের অধীনে রাজধানীর ব্যস্ত এলাকায় বিশেষ করে ন্যাম ভবন, সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, বাহাদুর শাহ পার্ক, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন এবং লঞ্চ টার্মিনালের মতো স্থানে এলইডি ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন করা হবে।
অপর প্রকল্পটি হচ্ছে- ১২৭.১৩ কোটি টাকার ময়মনসিংহের কেন্দ্রীয় জেলের সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন কাজ এবং ৮৮.৩৬ কোটি টাকার নারী উদ্যোক্তা বিকাশ।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।