
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির স্বাক্ষরের পর ৩৫ পৃষ্ঠার এই রায় প্রকাশ করা হলো। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাইকোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজ বলেছেন, রায়ে ৯০ দিনের মধ্যে এই ভবন ভাঙতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন শুধু আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করতে পারবে কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল এক রায়ে ৯০ দিনের মধ্যে বিজিএমই ভবন ভাঙার জন্য সরকারকে নির্দেশ দেয়া হয়। হাইকোর্টের বিচারপতি এএইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ। পরে ২০১১ সালে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের ৫ এপ্রিল চেম্বার আদালত হাইকোর্টের ওই রায়ের ওপর ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ জারি করেন। এরপর কয়েকবার স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
পরে হাইকোর্ট ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ পেলে রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিজিএমইএ’র সভাপতি ২০১৩ সালের ২১ মে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় লিভ টু আপিল দায়ের করেন। পরবর্তীতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে দেন।