এর আগে, ১৫ ডিসেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হয়ে সময়ের আবেদন দাখিল করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে বলেন, ২২ ডিসেম্বর বেগম খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হলে তার জামিন বাতিল করা হবে। ৮ ডিসেম্বর ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দার পুনঃবিবেচনার আবেদন মঞ্জুর করে খালেদার অসমাপ্ত বক্তব্য দেয়ার জন্য ১৫ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন। ১ ডিসেম্বর বেগম খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সাফাই সাক্ষী দেবেন বলে আদালতকে বলেন। এর পর তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনে আংশিক বক্তব্য প্রদান করে সময়ের আবেদন করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলা তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।